লক্ষ্মীপুরে পূর্ব শত্রুতার জেরে প্রতিপক্ষের লোকজন হামলা চালিয়ে দা দিয়ে কুপিয়ে জ্যোৎস্না আক্তার (৩০) নামে এক গৃহবধূকে হত্যার অভিযোগ উঠেছে। একই সময় জ্যোৎস্নার স্বামী আলাউদ্দিনকে (৩৬) কুপিয়ে আহত করা হয়েছে। আশঙ্কাজনক অবস্থায় তিনি ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।

রোববার দিবাগত রাত আড়াইটার দিকে সদর উপজেলার ভবানীগঞ্জ ইউনিয়নের চরভূতা গ্রামের মেঘনাবাজার এলাকার নুরুল হকের বাড়িতে এ হামলার ঘটনা ঘটে।

নিহত জ্যোৎস্না ও আহত আলাউদ্দিনের শরীরের বিভিন্ন অংশে ধারালো অস্ত্রের আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে গেলেও ঘটনার সঙ্গে জড়িত কাউকে আটক করতে পারেনি পুলিশ।

অভিযোগ রয়েছে, একই এলাকার আবদুর রবের ছেলে সিরাজ, মাহফুজ ও নিজাম এ হামলা করে। তারা সম্পর্কে আলাউদ্দিনের খালাতো ভাই। আহত আলাউদ্দিন মেঘনাবাজার এলাকার মৃত শাহে আলমের ছেলে ও পেশায় সাউন্ড সিস্টেম ব্যবসায়ী। নিহত জ্যোৎস্না তার স্ত্রী।

আহত আলাউদ্দিনের মামা নুরুল হকসহ স্বজনরা জানান, আলাউদ্দিনের বসতঘরের পাশে একটি পুকুর রয়েছে। ওই পুকুর থেকে অভিযুক্ত সিরাজ ড্রেজিংয়ের মাধ্যমে বালু উত্তোলন করে। গত সপ্তাহে একই পুকুর থেকে পানি নিষ্কাশনের জন্য সিরাজ সেচপাম্প বসায়। এতে বাড়িঘর ভেঙে যাওয়ার আশঙ্কায় আলাউদ্দিন বাধা দেন। এ নিয়ে উভয়ের মধ্যে কথা কাটাকাটি ও হাতাহাতির ঘটনা ঘটে।

এদিকে ঈদের ছুটিতে সিরাজের ভাই পারভেজ ও নিজাম বাড়িতে আসে। পূর্বের হাতাহাতির ঘটনার জের ধরেই দুই ভাইসহ প্রায় ১৪ জনকে নিয়ে সিরাজ মধ্যরাতে আলাউদ্দিনের বসতঘরে হামলা চালায়। এ সময় দা দিয়ে আলাউদ্দিন ও তার স্ত্রী জ্যোৎস্নাকে এলোপাতাড়ি কুপিয়ে আহত করে। পরে স্থানীয়রা তাদের আহতাবস্থায় সদর হাসপাতালে নিয়ে যায়। এর মধ্যে জ্যোৎস্নাকে হাসপাতালের কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন। আহত আলাউদ্দিনকে প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়।

ঘটনার পর থেকে অভিযুক্তরা আত্মগোপনে থাকায় কারও বক্তব্য জানা যায়নি।

লক্ষ্মীপুর সদর মডেল থানার ওসি সাইফুদ্দিন আনোয়ার বলেন, খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছে। তবে কাউকে আটক করা যায়নি। ভুক্তভোগী পরিবারের স্বজনদের লিখিত অভিযোগ দিতে বলা হয়েছে। অভিযোগ পেলে তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।